ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বিরিয়ানি খাইয়ে দুই শিশু খুনের মামলার আসামি বাবা গ্রেপ্তার

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :::

চকরিয়া শহ366র ক্রয় করা বিরিয়ানি খাইয়ে দুই শিশু মেয়ে মুত্যর ঘটনায় মামলার আসামি শিশুদের বাবা মিজানুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে কক্সবাজারের কলাতলী মোড় এলাকা থেকে পিবিআই পুলিশের একটিদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত মিজানুল হক পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্বমেহেরনামা বাঘগুজারা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ কালু সিকদারের ছেলে।

দুই মেয়েকে বিরিয়ানির সাথে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন শিশুদের মা ইয়াছমিন আক্তার বুলবুল। আদালতের নির্দেশে ওইসময় অভিযোগটি পেকুয়া থানা পুলিশ মামলা হিসেবে রুজু করার পর তদন্তের দায়িত্ববার নেন। পরে গতবছর কক্সবাজারস্থ পিআইবি পুলিশ নতুন করে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নেন।

কক্সবাজার পিআইবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, তদন্তভার ন্যস্ত হওয়ার পর থেকে তদন্ত কর্মকর্তা পিআইবি পুলিশের এসআই আবু ছালেহ মামলার আসামি শিশুদের বাবা মিজানুল হককে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে আসছেন। সর্বশেষ শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড়স্থ এলাকা থেকে মিজানুল হককে গ্রেফতার করেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বুলুর সাথে ২০০৪সালে বিয়ে হয় পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্বমেহেরনামা বাঘগুজারা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ কালু সিকদারের পুত্র মিজানুল হকের মধ্যে। সংসারে মিনজিলা আক্তার মাহিয়া (৯) ও সানজিদা ইয়াসমিন মিলি (৬) নামের দুটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়।

মামলার এজাহারে বাদি ইয়াছমিন আক্তার বুলবুল অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের ১৩অক্টোবর বিকেলে মিজানুল হক চকরিয়া শহরের কেন্ডি ফাস্টফুড নামের দোকান থেকে তিন প্যাকেট বিরানী কিনে নিয়ে তাতে বিষ মিশিয়ে রাত ৮টার দিকে বিরিয়ানির প্যাকেট গুলো বাড়িতে নেন। রাতে বিরিয়ানির প্যাকেট খুলে তিনি (ইয়াছমিন আক্তার) দুই শিশু মেয়েকে খাইয়ে দেন। এরপর মা-মেয়ে তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে জমজম হাসপাতালে শিশু মিলি প্রথমে মারা যান। পরে অপর মেয়ে মাহিয়াকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মারা যায় । #

পাঠকের মতামত: